বুয়েটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তির প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার আবেদন
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ৩০ নভেম্বর ২০২৪ইং।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা তিনটি শিফটে গ্রহণ করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত আবেদনকারীদের মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল এন্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের বিভিন্ন বিভাগে স্মাতক শ্রেণিতে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে। যে সকল ছাত্র/ছাত্রী :
২০২১ বা ২০২২ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, অথবা ২০২১ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল ৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল প্রাপ্ত হয়েছেন,
অথবা
২০২০ সালের নভেম্বর বা তার পরে GCE “O” লেভেল এবং ২০২৩ সালের নভেম্বর অথবা তার পরে GCE “A” লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন,
অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র তাঁরাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ইতোপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন অথবা অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাঁরা এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
১। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
(ক) প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) ৫.০০ এর স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম/সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপি ৫.০০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। যে সব প্রার্থী ২০২১ সালে মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের পরীক্ষায় তাদের সংশোধিত ফলাফল ৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ তারিখের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম/সমমানের পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে জিপিএ ৫.০০ এবং উচ্চতর গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়সমূহের প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপি ৫.০০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক/আলীম/সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে অথবা বিদেশী শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড/নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে বাছাই করে ১ম থেকে ২৪,০০০ তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয় তিনটিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এবং পদার্থ বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
(খ) GCE “O” লেভেল এবং GCE “A” লেভেল পাশ করা প্রার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য GCE “O” লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় (গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) এর প্রতিটিতে ন্যূনতম B গ্রেড এবং GCE “A” লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন বিষয়ের যে কোনো দুইটিতে ন্যূনতম A গ্রেড এবং একটিতে ন্যূনতম B গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে GCE “O” লেভেল এবং GCE “A” লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্ত সকল সঠিক আবেদনকারীর মধ্য হতে উপরে উল্লেখিত নির্ধারিত গ্রেডের ভিত্তিতে বাছাই করে ১ম থেকে ৪০০ তম পর্যন্ত সকল আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে। এই বাছাইয়ের জন্য যথাক্রমে আবেদনকারীর GCE “A” লেভেল পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডকে অগ্রাধিকারের ক্রম হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
(গ) ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত সকল সঠিক আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
(ঘ) উপরে উল্লেখিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তিন শিফটে বিভক্ত করে প্রাক- নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হবে। পরিসংখ্যান ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্য তা নিশ্চিত করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
(ঙ) প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের ১ম থেকে ২৫০০ তম শিক্ষার্থীকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ন্যূনতম ১২ জন পরীক্ষার্থী (পর্যাপ্ত আবেদন গ্রহণ সাপেক্ষে) মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত আবেদনকারীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে (www.buet.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।
আবেদনের সময়সীমা এবং পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।